Advertisement

Tuesday 16 July 2019

সাভারের আশুলিয়ায় মসজিদের এক ইমাম নয় বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন।

সাভারের আশুলিয়ায় মসজিদের এক ইমাম নয় বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন।
আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকায় রবিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে তারিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার পাশে অভিযুক্ত ইমামের বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
নয় বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করল মসজিদের ইমাম
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আশুলিয়ার থানার এসআই ফুলমিয়া খান বলেন, ঘরে কোনো লোক না থাকায় মোবাইলে শিক্ষার্থীর নগ্ন ছবি ধারণ করে আব্দুলল্লাহ আল মামুন। ওই নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর ধর্ষণের ছবি আব্দুল্লাহ আল মামুন মোবাইলে ধারণ করে। আর ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মামুনের সহযোগী জালাল মাদবর। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটি বাবা হাসান শেখ বাদী হয়ে আশুলিয়ার থানার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
ছাত্রীর মা লিপি আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম দিকে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, ‘আমরা ভিকটিম এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।’

Tuesday 22 January 2019

Daily Shop 24

    আমরা সারা বাংলাদেশে ফ্রী হোম ডেলিভারী দিয়ে থাকি।
  • আমাদের কোন ডেলিভারী চার্জ নেই।
  • ঢাকা শহরের ভেতরে ৩ ঘন্টার মধ্যে নিশ্চিত ডেলিভারী করা হয়।
  • পন্য অর্ডারে আমরা ২০০ টাকা আগ্রীম বিকাশ নিয়ে থাকি।
  • এই আগ্রীম ২০০ টাকা পন্যের মূল দাম থেকে কর্তন করা হবে।
  • ক্যাশ-অন ডেলিভারীর ক্ষেত্রে কোন মূল্য ফেরত দেবার সুযোগ নেই।
  • আমরাই দিতে পারি আপনাকে একমাএ অর্জিনিয়াল প্রোডার্ক্ট এর নিশ্চিয়তা।
  • পন্য অর্ডার করতে কল করুন : 01910001550
  • আমাদের বিকাশ পার্সোনাল নাম্বার : 01786353360
  • আমাদের বিকাশ মার্চেন্ট নাম্বার : N/A
  • আমাদের রকেটে পার্সোনাল নাম্বার : 019100015506
  • আমাদের রকেটে মার্চেন্ট নাম্বার : N/A
  • আমাদের Whatsapp, Imo এবং Viber নাম্বার : 01859270665
  • পণ্য ডেলিভারীর সময় সঠিক পণ্য দেখে-বুঝে নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
  • আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।
  • Daily Shop 24 পরিবারের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী


রনজিৎ বলেন, 'এমন হতে পারে আশঙ্কায় বাড়ি ফিরতাম না। কিন্তু কিছুদিন থেকে ভালো ভালো কথা বলে ভুলিয়ে ভালিয়ে আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
মেহেরপুরে গাংনী উপজেলায় রনজিৎ হোসেন নামের এক ব্যাক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছেন স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন। তার চতুর্থ বিয়ে মেনে নিতে না পেরে মনোয়ারা এমনটি করেছেন বলে জানা গেছে। 
গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে রনজিতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 
গাংনী থানার পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে মনোনয়ারাকে পুলিশ আটক করেছে। 
রনজিতের মেয়ে বিউটি খাতুন জানান, তার বাবা এর আগে তিনটি বিয়ে করেছেন। তৃতীয় স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মাস তিনেক আগে ফের বিয়ে করেন রণজিৎ। এ ঘটনার পর থেকে রনজিত বাড়িতে থাকতেন না। ঘটনার দিন রাতে ভবানীপুরের নিজ বাড়িতে গেলে দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেন। 
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম জানান, রনজিতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 
এ প্রসঙ্গে রনজিৎ বলেন, 'এমন হতে পারে আশঙ্কায় বাড়ি ফিরতাম না। কিন্তু কিছুদিন থেকে ভালো ভালো কথা বলে ভুলিয়ে ভালিয়ে আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।' 

Monday 29 October 2018

১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত

অক্টোবরে ছবিটি তোলা হয় পালু বিমানবন্দর থেকেছবির কপিরাইটAFP
Image captionঅক্টোবরে শুরুতে ছবিটি তোলা হয় পালু বিমানবন্দর থেকে
লায়ন এয়ার বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জার্কাতা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সাথে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সর্বশেষ দেখা যায় বিমানটি সমুদ্রে পড়ে গেছে।
তবে বিমানটিতে থাকা কেউ বেঁচে আছে কিনা - তা জানা যায় নি। ফ্লাইট জেটি ৬১০ নিয়মিত ফ্লাইট যেটা জার্কাতা থেকে পেংকাল পিনাং যাতায়াত করে।
পেংকাল পিনাং বিমানবন্দরে স্বজনদের আহাজারিছবির কপিরাইটREUTERS
Image captionপেংকাল পিনাং বিমানবন্দরে স্বজনদের আহাজারি।

কী ঘটেছিল?

ফ্লাইট জেটি ৬১০ স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬:২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি দেপাতি আমির বিমানবন্দরে এক ঘন্টা পর অবতরণ করার কথা ছিল।
কিন্তু ১৩ মিনিট পর কর্তৃপক্ষ বিমানটির সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।
কর্তৃপক্ষ একটা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বিমানটিতে ১৭৮জন প্রাপ্তবয়স্ক, তিনজন শিশু, দুইজন পাইলট এবং পাঁচজন কেবিন ক্রু ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জানিয়েছেন ঐ বিমান থেকে মানুষের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাগরে ভাসতে দেখা গেছে।

প্রীতিভাজনেষু: আপনাদের প্রশ্ন, সম্পাদকের জবাব

গত সপ্তাহের আলোচ্য বিষয় ছিল ঢাকার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে সদ্য গঠিত রাজনৈতিক জোট 'জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট'এর একজন প্রথম সারির নেতা মইনুল হোসেনের সাথে অনুষ্ঠানের আরেকজন অতিথি মাসুদা ভাট্টির বাক-বিতণ্ডা। ফ্রন্ট নেতার বিরুদ্ধে আনা হয় নারী-বিদ্বেষী বক্তব্য রাখার অভিযোগ, তিনি ভুল স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করলেন।
কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় দায়ের করা হলো মামলা, যার পরিণতিতে মি: হোসেন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে । বিষয়টি কি শুধুই নারী-বিদ্বেষী মানহানির ব্যাপার ছিল, নাকি এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাও জড়িয়ে গেছে, তা নিয়ে চলছে মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য।
সে প্রসঙ্গে আসছি একটু পরে। আজ শুরু করছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসঙ্গ দিয়ে। টেলিফোনে আড়িপাতা নিয়ে লিখেছেন ঢাকার গেণ্ডারিয়া থেকে মাহবুবা ফেরদৌসি হ্যাপি:
''এ'মাসের ২৩ তারিখ প্রবাহ অনুষ্ঠানে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের টেলিফোনে আড়িপাতা ও তা ফাঁস করা নিয়ে সাইয়েদা আক্তারের প্রতিবেদনটি শুনলাম। চমৎকার প্রতিবেদনটি থেকে বাংলাদেশে টেলিফোনে আড়িপাতা, তা ফাঁস করে দেয়া ও এর আইনগত দিকটি সম্পর্কে জানলাম। আমার জানতে ইচ্ছে করে, ব্রিটেন বা উন্নত দেশগুলোতে টেলিফোনে আড়িপাতা ও তা ফাঁস করা কতটা দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এটা কী সাধারণ নাগরিকরা করতে পারে?''
আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ মিস ফেরদৌসি । ব্রিটেনে কারো টেলিফোনে আড়িপাতা বেআইনি। শুধু মাত্র কোন অপরাধ রোধে বা অপরাধীকে ধরতে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে কারো ফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়ি পাততে পারে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এ'কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ।
যেমন, ২০১৪ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের প্রেস প্রধান অ্যান্ডি কুলসনের ১৮ মাস জেল হয়। তিনি দ্য নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে একজন মৃত কিশোরীর ফোনের ভয়েস মেসেজ হ্যাক করেছিল পত্রিকার সাংবাদিকরা। বিচারে তারা দোষী সাব্যস্ত হন। কেলেঙ্কারিটি এতই ভয়ংকর ছিল যে, ১২৫ বছর পুরনো সেই পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের এই ছিল পরিণতি।
সাঈয়েদা আক্তারের প্রতিবেদন: বাংলাদেশে ফোনালাপ ফাঁস করা কি অপরাধ?
টেলিফোনে আড়িপাতা থেকে সামাজিক মাধ্যমে নজরদারী নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।ছবির কপিরাইটGETTY IMAGES
Image captionনজরে বাংলাদেশ: টেলিফোনে আড়িপাতা থেকে সামাজিক মাধ্যমে নজরদারী নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।
এবারে আসি আলোচিত একটি বিষয়ে। বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক জোট 'জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টে'র প্রথম সারির নেতা মইনুল হোসেন আর অনুষ্ঠানের আরেকজন অতিথি মাসুদা ভাট্টির মধ্যে বাক-বিতণ্ডা নিয়ে লিখেছেন ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামাল হোসাইন:
''সম্প্রতি '৭১ টিভির টকশোতে মাসুদা ভাট্টি ও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অশোভন কথাবার্তায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নারী সমাজ বলছে মি: হোসেনের কথা নারীদের জন্য অবমাননাকর, তাই তারা মামলা করছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল যেসব জায়গায় পুরুষেরা মামলা করছেন তারা কোন অবমাননায় মামলা করছেন? না কি এটি রাজনৈতিক ইস্যুতে হচ্ছে? আমি এটাও ভেবে পাইনা যে, যিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, তিনি কীভাবে রাজনীতি করেন। তাহলে নিরপেক্ষ সরকার কাকে বলবো?''
ভাল প্রশ্ন করেছেন মি: হোসাইন। আমার দৃষ্টিতে, প্রাথমিক পর্যায়ে এটা নারীর প্রতি অবমাননার ব্যাপার ছিল। মইনুল হোসেন ভুল স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করার পর বিষয়টির সমাপ্তি হতে পারতো। কিন্তু বিভিন্ন শহরে মামলা করে বিষয়টিকে এখন অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাসুদা ভাট্টি মামলা করেছেন, তারপরও অন্যরা যখন মামলা করলেন, তখন স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেহটা জেগেছে যে, বিষয়টি থেকে রাজনৈতিক লাভ নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আর মইনুল হোসেন উপদেষ্টা ছিলেন ২০০৮ সালে। তিনি নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন, অর্থাৎ ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেননি। কিন্তু ২০১৮ বা ১৯ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা আছে বলে মনে হয়না।
বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ২৮-১০-২০১৮ দিল্লিতে একটি সাক্ষাৎকার দেবার সময়।ছবির কপিরাইটTHE INDIA TODAY GROUP
Image captionতসলিমা নাসরিন: মাসুদা ভাট্টির সাথে যার ইতিহাস সুখকর নয়।
এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ দিয়েছেন ভারত-প্রবাসী বাংলাদেশী লেখক তসলিমা নাসরিন। সে বিষয়ে মন্তব্য করেছেন রংপুর সদর থেকে দেব প্রসাদ রায়:
''আমি যেসব লেখক-লেখিকাদের লেখা নিয়মিত পড়ি তাদের মধ্যে একজন তসলিমা নাসরিন। নানা ইস্যুতে ওনার সাহসী লেখা অহরহ চোখে পড়ে। এবারে মাসুদা ভাট্টি-মইনুল বিতর্কেও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মন্তব্য করেছেন তিনি। লেখাটিতে মাসুদা ভাট্টির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। বোঝা যায় যে তিনি সেসময় ন্যায় বিচার পাননি, এবং মাসুদা ভাট্টিকেও ন্যায় বিচার পেতে দেবেননা! একজন বিজ্ঞ লেখিকা হিসেবে তিনি কতটা ধৈর্যের পরিচয় দিলেন?''
এখানে ধৈর্য কি প্রাসঙ্গিক মি. রায়? লেখা দেখে পরিষ্কার বোঝা যায় তসলিমা নাসরিন আর মাসুদা ভাট্টির মাঝে একটা ইতিহাস আছে, যেটা মিস নাসরিনের জন্য মোটেই সুখকর ছিল না। তসলিমা নাসরিনের দৃষ্টিতে মাসুদ ভাট্টি তার সাথে বেঈমানি করেছেন। সে'কথা তিনি যদি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চান, তাহলে তিনি তা করতেই পারেন। (মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কে তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্ট পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। তার জবাবে মাসুদা ভাট্টি তার ফেসবুক পাতায় কী লিখেছেন, তা পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন)
তবে বাংলাদেশে নারীরা বিশেষ করে তরুণীরা কত ঝুঁকির মাঝে আছে, তা প্রকাশ পেল একজন পুলিশ অফিসারের ধারণ করা একটি ভিডিওতে, যেটা তিনি নিজেই ফেসবুকে তুলে দিয়েছেন।। সে বিষয়ে লিখেছেন খুলনার দাকোপ থেকে মুকুল সরদার:
''সম্প্রতি রাজধানীতে গভীর রাতে এক নারীকে পুলিশ চৌকিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গভীর রাতে পুলিশ চৌকিতে আটকে একজন নারীকে এভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা বা ধারণকৃত সেই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা ঠিক কতটা নৈতিক এবং যৌক্তিক ছিল? বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্যের এ ধরণের কর্মকাণ্ড পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।''
যৌক্তিক তো অবশ্যই ছিল না মি: সরদার। সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ছিল যেভাবে একাধিক পুলিশ দীর্ঘ সময় ধরে অটোরিকশা বা আরোহীর ব্যাগ তল্লাশি না করে, টর্চ লাইটের আলোতে তরুণী আরোহীকে দেখছিলেন আর বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করছিলেন। ঐ তরুণী অত্যন্ত সাহসের সাথে উঁচু গলায় তার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং পুলিশকে তিরস্কার করেছে। এই ভিডিও দেখে সবাই বুঝবে বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জনসেবা, বিশেষ করে নারীদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়,তা নিয়ে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন।
সিলেটে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সমাবেশ: জোটের মূল শক্তি বিএনপি।
Image captionসিলেটে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সমাবেশ: জোটের মূল শক্তি বিএনপি।
এবারে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটি প্রশ্ন, লিখেছেন সাতক্ষিরা থেকে গাজী মোমিন উদ্দিন:
''সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনসহ কয়েকটি সমমনা দল জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করেছেন। আমার বয়স ৩৮ বছর। আমি কখনও শুনিনি কামাল সাহেব ভোটে জিতেছেন। সেই কামাল সাহেব নাকি ফ্রন্ট নেতা। আসলে ঐ ফ্রন্ট নেতা কি কামাল সাহেব না অন্য কেউ? তাছাড়া এই ফ্রন্ট কোন দিকে এগুচ্ছে বলে মনে হয়? ভোটের দিকে না জোটের দিকে?''
অনেক প্রশ্ন করেছেন গাজী মোমিন উদ্দিন, যার কোনটার উত্তর দেয়াই সহজ না। জোটটি তৈরি হয়েছে কামাল হোসেনকে সামনে রেখে, কিন্তু জোটের মূল শক্তি যে বিএনপি তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এ'কথা ঠিক, বিভিন্ন নির্বাচনে মি: হোসেনের রেকর্ড মোটেই ভাল না। কিন্তু এবার তিনি দাঁড়াবেন বলে মনে হচ্ছে না। যদি না দাঁড়ান,তাহলে জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন সেটা একটি বিরাট প্রশ্ন হয়ে উঠবে। তবে আমার মনে হয়, জোট ভোটের দিকেই এগুচ্ছে।
আরো পড়তে পারেন:
মোবাইল ফোন নিয়ে সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে লিখেছেন রংপুর সরকারি কলেজ থেকেমুন্নী পাটোয়ারী:
''বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তন নিয়ে প্রতিবেদনটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশী গ্রাহক গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোনের কল ড্রপ, ইন্টারনেট স্লোও, প্যাকেজের মেয়াদ সীমিত সময়। সত্যিই গ্রামীণফোন ব্যবহারে সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট। বিবিসি বাংলার মাধ্যমে সরকার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।''
আপনাকেও ধন্যবাদ মিস পাটোয়ারী। একই নাম্বার রেখে অপারেটর পরিবর্তন করার ব্যবস্থার জন্য সরকার সাধুবাদ পাচ্ছে। তবে আমরা পরবর্তীতে দেখবো, মোবাইলের সর্বনিম্ন কলরেট গ্রাহকদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে ।
বাংলাদেশের ঢাকায় মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপনের পাশ দিয়ে একজন বৃদ্ধ হেঁটে যাচ্ছেন।ছবির কপিরাইটFARJANA K. GODHULY
Image captionপরিবর্তনের বাতাস: বাংলাদেশে অনেক মোবাইল ফোন গ্রাহক অপারেটর বদলাচ্ছেন।
ফিরে যাচ্ছি আড়িপাতা এবং কথোপকথন ফাঁস করার বিষয়ে। লিখেছেন ভোলার লালমোহন থেকে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান:
''এ'মাসের ২৩ তারিখ প্রবাহ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতাদের কথোপকথন টেলিফোনে আড়িপাতা ও জনসম্মুখে এর তথ্য ফাঁস নিয়ে প্রতিবেদনটি শুনলাম। আমরা জানি, টেলিফোনে আড়িপাতা ও তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা মারাত্মক অপরাধ, কারণ এতে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে যায় এবং এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চরম বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হয়।
''বাংলাদেশে ইদানীং যেসব টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হচ্ছে, তার প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে এর সাথে উচ্চ পর্যায়ের একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত এবং এদের চিহ্নিত করে সরকারের এখনই বন্ধ করা উচিৎ। অন্যথায় ভবিষ্যতে এর ব্যাপ্তি আরও বাড়বে এবং সরকারই বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হবে।''
আপনি ঠিকই বলেছেন মি: রহমান, যে কোন লোকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করে আড়িপাতা এবং তা ফাঁস করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। এই আড়িপাতার সাথে যে উচ্চ পর্যায়ের লোকজন জড়িত তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি সরকারের অগোচরে কাজটি করছে, নাকি সরকারের সম্মতি নিয়েই করছে? ভাববার বিষয় বটে।
ফিরে আসছি রাজনীতিক এবং প্রকাশক মইনুল হোসেন এবং সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মধ্যে বাক-বিতণ্ডার বিষয়ে। এ'নিয়ে কয়েকজন লিখেছেন, যার মধ্যে আছেন ঢাকার তানজিলুর রহমান:
''ব্যারিস্টার মইনুল কে নিয়ে এখন আবার তামাশা শুরু হইছে। উনাকে টকশোতে প্রথমে অপমানজনক প্রশ্ন করা হয় যার উত্তরে তিনিও পাল্টা অপমান করেন। এখন যদি প্রশ্নের বেলায় কোন বাধা-নিষেধ না থাকে তাহলে উত্তরের বেলায় তা থাকবে কেন? এখানে মহিলা বলেই বাড়াবাড়ি বেশি হচ্ছে অথচ পুরুষ সাংবাদিকদেরকেও কটু কথা বলার ইতিহাস রয়েছে। তখন তো এমন গাদাগাদা মামলা হয়নি। মামলা যারা করছে তারাও কোন না কোনভাবে সরকারি দলের সাথে জড়িত। এই পুরো ব্যাপারটা এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।''
আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ মি: রহমান। আমি যতদূর জানি, উত্তরের বেলায়ও কোন বিধি-নিষেধ নেই। কিন্তু এখানে অভিযোগ হচ্ছে, প্রশ্নকর্তাকে তার নারীত্ব লক্ষ্য করে অপমান করা হয়েছে। তার প্রশ্নের যৌক্তিকতা চ্যালেঞ্জ করে কোন কথা মি: হোসেন তখন বলেননি। আমার মনে হয় মি: হোসেন রাগের মাথায় বেফাঁস কথা বলে ফেলেছেন এবং তার পরিণতিতে এই অবস্থা।
ড: কামাল হোসেন
Image captionড: কামাল হোসেন: সবার দৃষ্টি এখন এই প্রবীণ রাজনীতিকের দিকে।
পুরো বিষয়টি নিয়েই বিরক্ত এস এম মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, যিনি রংপুরের বাসিন্দা:
''গত ১৮ তারিখের টিভি অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে নারী সাংবাদিক যে প্রশ্ন করেছিলেন, সেটি কি ঠিক করেছিলেন? আমার মনে হয় ঐ নারী সাংবাদিক কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত। তবে মইনুল হোসেন যেকথা বলেছিলেন তা মার্জিত নয়। তাঁর উচিত ছিলো টকশো থেকে বের হয়ে আসা।''
বিষয়টি আসলেই ভেবে দেখার মত মি: আলী। আপনি যখন রাজনীতি করবেন, তখন নানা রকমের প্রশ্নের মুখে পরতে হবে। মাথা গরম করে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গালি-গালাজ দিয়ে রাজনীতি করা যায় না। আর একজন সাংবাদিক যে কোন প্রশ্নই করতে পারেন, তার সেই অধিকার অবশ্যই আছে, সে প্রশ্ন শুনতে যত খারাপই লাগুক না কেন। অন্যদিকে, মইনুল হোসেনেরও অধিকার আছে উত্তর না দেয়ার বা টকশো থেকে বেরিয় যাবার - তবে রাজনীতিকদের কাছ থেকে সে ধরণের আচরণ পাবলিক ভাল চোখে দেখে না।
পরের চিঠি বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে, লিখেছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকেমেনহাজুল ইসলাম তারেক:
''গত ২০ অক্টোবর বিবিসি'র ফেসবুক পেজে একটি খবর দেখছিলাম যার শিরোনাম: "নতুন জোট থেকে কি লাভ হবে বিএনপির"? এক্ষেত্রে আমার অভিমত, বিএনপি এক সময় জামায়াতের উপর আর এখন ডক্টর কামালের উপর ভর করে নির্বাচন করতে চায়। মনে হচ্ছে তাঁরা ভয় পাচ্ছে, সরকার এবারও তাদের ছাড়াই নির্বাচন করে কি না?
''নির্বাচনের বৈতরি পার হওয়ার জন্য কামাল হোসেনদের সাথে তাঁরা জোট করেছে বলে আমার মনে হয়। তবে এসব প্রশ্নবোধক শিরোনাম না করে বিবিসি বাংলার উচিত আমাদের সুস্পষ্টভাবে ধারনা দেয়া যে, এই জোট কতটা মঙ্গল কিংবা ক্ষতি বয়ে আনবে আমাদের দেশের জন্য।''
কোন জোট বাংলাদেশের জন্য কত লাভ বা ক্ষতি নিয়ে আসবে, সেটা কিন্তু আপনারা, অর্থাৎ ভোটাররাই ঠিক করবেন। বিবিসি কখনোই আপনাদের বলবে না কাদের ভোট দেবেন বা দেবেন না। আমাদের বিশ্লেষণ থাকবে বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ। কোন দল কী চায়, তার প্রতিশ্রুতি পালনের ইতিহাস কী ইত্যাদি আমরা বিশ্লেষণ করবো। বাদ বাকি আপনাদের ব্যাপার।
লন্ডনে সৌদি দূতাবাসের সামনে খাসোগজি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ২৬-১০-২০১৮।ছবির কপিরাইটJACK TAYLOR
Image caption'নির্লজ্জ সৌদি': লন্ডনে সৌদি দূতাবাসের সামনে খাসোগজি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকে ঘিরে কুয়াশা এখনো কাটেনি। সে বিষয়ে লিখেছেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইজুল হক নোমান:
''খুব কষ্ট পেলাম, যখন শুনলাম বহু নাটকীয়তার পর খাসোগজি হত্যা সংবাদ মাধ্যমের ধারনা করা কৌশলেই স্বীকার করল সৌদি । নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। আরও অবাক হলাম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে বিবৃতি দিলেন। মনে হল দুই ঘোষণার মাঝে যোগসাজশ আছে। আবার তিনি কঠোর হলে আমেরিকাকে কি বেকায়দায় পরতে হত তারও ইঙ্গিত দিলেন ।
''তাহলে কি নিজেদের স্বার্থের বিপরীতে গেলে তারা এমন জঘন্য বিষয়কে বৈধতা দিতে পারে? সৌদি কি তাহলে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হয়ে গেল? সেটা হোক কৌশলগত, ভৌগলিক, অর্থনৈতিক বা অন্য কোন কারণে।''
সৌদি আরব সব সময়ই, বিশেষ করে ১৯৭৩-এর আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকেই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর একটি। তার কারণ, বিশ্ব জালানি বাজারে তার রয়েছে বিশাল প্রভাব। তবে আমেরিকা এই হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে, এ'কথা বলা ঠিক হবে না। সৌদি আরব তাদের মিত্র দেশ এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চেষ্টা করছেন সৌদি রাজপরিবার যাতে দুর্বল না হয়ে যায়। কিন্তু আরো অনেক কিছু ঘটবে বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার সমাপ্তি এখনো বেশ দূরে।
এবারে ভিন্ন প্রসঙ্গ। বিবিসিকে নিয়েই ছোট চিঠি লিখেছেন কুমিল্লার কাপ্তান বাজার থেকে মিনহাজ উদ্দিন আহাম্মদ:
''অনেক দিন পর লিখছি। এখন অনেক বেশী কাছে এবং সবসময় এক ক্লিকেই আপনাদের পাই। তাই হয়ত আগের সেই শর্টওয়েভ বেতারের মত সুখ পাইনা। সে যাই হোক, বিবিসির উপস্থাপনা আগের মতই আছে তবে ইন্টারনেটে বেশ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আরও একটু দ্রুত সময়ে আপডেট নিউজ দেয়ার চেষ্টা করবেন।''
লেখার জন্য ধন্যবাদ মি: আহাম্মদ। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের ওয়েবসাইটে নিউজ আপডেট আরো দ্রুত করতে হবে। তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নির্ভুল নিউজ দেয়া।
রংপুর থেকে কাওছার রহমান এ ছবিটি পাঠিয়েছেন।ছবির কপিরাইটকাওছার রহমান
Image captionরংপুর থেকে কাওছার রহমান এ ছবিটি পাঠিয়েছেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের ফটো গ্যালারী নিয়ে জানতে চেয়ে লিখেছেন ঢাকার ধানমন্ডি থেকেশামীম উদ্দিন শ্যামল:
''হঠাৎই দেখলাম ছবি গ্যালারিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের করুণ পোস্ট অফিসগুলোর বেহাল দশা এবং ক্রমে অকেজো হয়ে পড়া ব্যবস্থার হালচিত্র। দেখলাম প্রত্যেক ছবি কেউ না কেউ পাঠিয়েছেন। যারা পাঠিয়েছেন তারা কি আমার মতো সাধারণ শ্রোতা? নাকি স্থানীয় সাংবাদিক আপনাদের পোস্ট অফিস ও ডাকটিকিটের ছবি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন? আর যদি শ্রোতারা পাঠিয়ে থাকেন তাহলে ছবি চাওয়ার কথা কখন জানানো হলো। আমি তো কিছুই জানতে পারলাম না।''
সব ছবি বিবিসির শ্রোতা-দর্শক-পাঠকদেরই পাঠানো শামীম উদ্দিন শ্যামল। ছবিগুলো রেডিওতে চাওয়া হয়নি। আহ্বান জানানো হয় আমাদের ফেসবুক পাতায়। প্রতি সপ্তাহেই তা করা হয়। কয়েকটি ছবি আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান 'বিবিসি প্রবাহ'তে নেয়া হয় প্রতি সোম এবং বৃহস্পতিবার।
পত্র মিতালী নিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে রাফিউল ইসলাম রাফি:
''বিবিসিতে কয়েক সপ্তাহ আগে "পত্র মিতালী" নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন শুনলাম। পত্র মিতালী'র মাধ্যমে সম্পর্ক হয়ে বিবাহিত হওয়া এক দম্পতির সাক্ষাৎকার শুনে, আধুনিক যুগের মানুষ হয়েও মনে হলো, যদি আমাদের বর্তমান সমাজে এই ব্যবস্থা চালু থাকতো! মনে বড় ইচ্ছে করে যদি সেই সময়টাতে পৃথিবীতে আসতাম। যাইহোক আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সময়ে যোগাযোগের উক্ত পদ্ধতিটি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় কি?''
যদি দু'জন একে অপরের সাথে পত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে চায়, তাহলে তাদের বাধা দেবার তো কিছু নেই মি: ইসলাম। পত্র মিতালি ব্যবস্থা ফিরে আসবে কি না, তা নির্ভর করবে ক'জন আবার হাতে লেখা চিঠি ডাকে পাঠিয়ে বন্ধুত্ব করতে চায়, তার ওপর। আমার ধারণা, খুব বেশি লোক নেই যারা এটা করবেন। এখন আপনি মুহূর্তের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে চেনা-অচেনা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
সব শেষে, সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন নিয়ে একটি প্রশ্ন, পাঠিয়েছেন রংপুরের কাউনিয়া থেকে বিলকিস আক্তার:
''আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে ও পড়ে আসছি যে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনটি হচ্ছে রবিবার। কিন্তু ইদানীং বেশ কিছু গণমাধ্যম ও পাঠ্যপুস্তকে রবিবারের স্থলে লেখা হচ্ছে 'রোববার', অনেকে বলেনও। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোনটি সঠিক—রবিবার, নাকি রোববার, নাকি দুটিই সঠিক?''
বিষয়টি নিয়ে আমিও কিছুটা বিভ্রান্ত মিস আক্তার। যদিও আমি প্রায়ই রোববার বলে থাকি, আমি জানি রবিবারই সঠিক। তবে আমার মনে হয় না রোববার বলাটা অপরাধ বা বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে কোন আগ্রাসন। আপনাকে ধন্যবাদ।

Popular Posts