Wednesday 18 October 2017

টস জয় আর ম্যাচ হারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত


টস জয়ের ক্ষেত্রে এবারও কোনো গোলমাল হয়নি। টেস্ট সিরিজ শেষে ওয়ানডে সিরিজ চলছে।
টস জিতেই চলছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক পরিবর্তন হয়েছে; মুশফিকের সিরিজ শেষে চলছে মাশরাফির সিরিজ; কিন্তু ফাফ ডু-প্লেসিস টস জিততেই পারছেন না। তবে তার দল ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জিতে চলছে। আজ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও এর কোনো ব্যতিক্রম হলো না। প্রোটিয়াদের সাড়ে তিনশ রানের জবাবে ১০৪ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ।
রান তাড়ার লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। তামিম ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করে প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। তিন নম্বরে নামা লিটন দাসও কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ১ চার ও দর্শনীয় ১টি ছক্কায় ১৪ রান করে ফেলুকওয়ায়োর শিকার হন তিনি।
এরপর ৯৩ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং মুশফিকুর রহিম। ভালো খেলতে খেলতে ৬৮ রান করা ইমরুল কায়েস ইমরান তাহিরের বলে ভিলিয়ার্সের তালুবন্দী হলে ভাঙে এই জুটি। ব্যাটিং ভরসার অন্য নাম সাকিব আল হাসানও ৫ রান করে ফিরে গেলে পরাজয়ের শংকা ফিরে আসে টাইগার শিবিরে। আশা ভরসার প্রতীক হয়ে থাকা মুশফিকুর রহিমও ৬০ রান করে প্রিটোরিয়াসের শিকার হন। ১৮৪ রানে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ।
মাহমুদ উল্লাহর সঙ্গী হওয়া সাব্বির রহমান ১৭ রান করে ইমরান তাহিরের বলে ক্যাচ দেন। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদ উল্লাহ (৩৫) ফেলুকওয়ায়োর বলে বোল্ড হয়ে যান।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে আগে ব্যাট করে সাড়ে তিন শ রান করা মোটেও অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু চলতি সফরে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ফর্ম এই টার্গেটকেই কঠিন করে ফেলেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ডি ভিলিয়ার্সের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি আর হাশিম আমলার ব্যাটিং দাপটে ৫ উইকেটে ৩৫৩ রান তুলে প্রোটিয়ারা। রুবেলের ৪ উইকেট আর সাকিবের ২ উইকেটে রানবন্যা আটকানো সম্ভব হয়নি।
ইনিংসের শুরু থেকে সাবলীলভাবেই খেলছিল প্রোটিয়ারা। আরেকটি শতরানের ওপেনিং জুটি গড়ার আগেই আঘাত হানেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের ঘূর্ণিবলে লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আগের ম্যাচে দেড় শতাধিক রান করা কুইন্টন ডি কক (৪৬)।  ৯০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু টিও এল একই ওভারে। দুর্দান্ত ফ্লাইট ডেলিভারিতে অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিসের স্টাম্প উড়ে গেল। কোনো রান না করেই ফিরতে হলো ডু-প্লেসিসকে।
৯০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ১৩৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ডি ভিলিয়ার্স এবং হাশিম আমলা। ওই মুহূর্তে একটি ব্রেক থ্রু দরকার ছিল। হাশিম আমলাকে (৮৫) মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করে সেই ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন। কিন্তু কামব্যাক ম্যাচে ঠিকই ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৬৮ বলে ঝড়ের গতিতে সেঞ্চুরির পর রুবেলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১০৪ বলে ১৫ চার ৭ ছক্কায় ১৭৬ রান! এরপর ডুমিনি (৩০) আর প্রিটোরিয়াসকেও (০) শিকারে পরিণত করেন রুবেল।

No comments :
Write comments

Popular Posts